ব্লুটুথ কি বা কাকে বলে? ব্লুটুথের বৈশিষ্ট্য, ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধা
ব্লুটুথ (Bluetooth)
ব্লুটুথ কাকে বলে? (What is Bluetooth?)
সাধারণত স্বল্প দূরত্বের ভেতর ডেটা আদান-প্রদানের জন্য তার বিহীন পার্সোনাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (PAN) প্রযুক্তিকে ব্লুটুথ বলে। যা স্বল্প দূরত্বে ডেটা আদান-প্রদানে ব্যবহৃত হয় এবং উঁচু মানের নিরাপত্তা বজায় থাকে।
ব্লুটুথ এর কার্যকরী পাল্লা ১০ মিটার হলেও বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে ১০০ মিটার পর্যন্ত বাড়ানো যায়। এর স্ট্যান্ডার্ড হচ্ছে IEEE 802.15.1
ব্লুটুথ PAN (Personal Area Network) এর আওতাভুক্ত। এর মাধ্যমে স্বল্প দূরত্বের দুই বা ততোধিক ডিভাইসের মধ্যে ডাটা আদান প্রদান করা যায়। ব্লু-টুথ 2.4 GHz ফ্রিকুয়েন্সি ব্যান্ডে কাজ করে। টেলি ভেন্ডর কোম্পানি এরিকসন ১৯৯৪ সালে ব্লুটুথ আবিষ্কার করেন।
বর্তমানে মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মেডিক্যাল ডিভাইস এবং বাসায় বনোদনের জন্য ব্যবহৃত অনেক ডিভাইসে ব্লুটুথ প্রযুক্তিটি ব্যবহার করা হচ্ছে।
ব্লুটুথ প্রযুক্তি মাধ্যমে যে নেটওয়ার্ক (network) তৈরি হয়, সেই নেটওয়ার্ককে পিকোনেট বলে। দুইটি পাশাপাশি পিকোনেট একটি সাধারণ স্লেভ নোডের মধ্যে সংযুক্ত হলে এই দুইটি পিকোনেটকে এক সাথে স্কার্টারনেট বলে। Mobile phones, computers, laptops, printers, digital cameras এবং video games কনসোলগুলোকে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত করতে এবং তথ্য বিনিময় করতে ব্লুটুথ একটি নিরাপদ উপায় হিসাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন:
ওয়্যারলেস কমিউনিকেশন সিস্টেম কি? এর প্রকারভেদ, প্রয়োজনীয়তা, সুবিধা ও অসুবিধা
ব্লুটুথ এর ব্যবহার (Application of Bluetooth)
- ফোনের সঙ্গে হ্যান্ডস ফ্রি হেডসেটের সংযোগ ঘটিয়ে সাউন্ড বা ভয়েস ডেটা স্থানান্তরে ব্লুটুথ ব্যবহার হয়।
- ফোন থেকে যে কোন কম্পিউটারে ফাইল স্থানান্তরের কাজে ব্লুটুথ ব্যবহৃত হয়।
- কম্পিউটার ডিভাইসের সঙ্গে অন্যান্য ডিভাইসের সংযোগ ঘটানো যায় ও তথ্য আদান-প্রদান করা যায়।
- পিসির ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইসগুলোর সাথে তারহীন যোগাযোগে ব্লুটুথ ব্যবহার হয়।
- জিপিএস রিসিভার, চিকিৎসা যন্ত্রপাতি, বারকোড স্ক্যানার এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল ডিভাইসগুলোতে ব্লুটুথ ব্যবহার হয়।
- ডেডিকেটেড টেলিহেলথ ডিভাইসগুলোতে হেলথ সেন্সর ডেটাগুলোর শর্ট রেঞ্জ ট্রান্সমিশনে ব্লুটুথ ব্যবহার করা হয়।
- প্রায়ই ইনফ্রারেড ব্যবহার হয় এমন স্থানে নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ব্লুটুথ ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন:
ভার্চুয়াল রিয়েলিটি কি? কীভাবে কাজ করে, প্রাত্যহিক জীবনে এর ব্যবহার
কৃত্রিম উপগ্রহ কি বা কাকে বলে? কৃত্রিম উপগ্রহের প্রকারভেদ ও ব্যবহার
ব্লুটুথের বৈশিষ্ট্য / সুবিধা (Characteristics of Bluetooth)
- সাধারণত দুইটি কাছাকাছি ডিভাইসের মধ্যে ডেটা স্থানান্তর করতে ব্লুটুথ ব্যবহার হয়।
- ব্লুটুথ ২.৪ গিগাহার্টস ফ্রিকুয়েন্সিতে সিগন্যাল আদান-প্রদান করে থাকে।
- ব্লুটুথ ১০ – ১০০ মিটারের মধ্যে তারহীন ডিভাইসের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে ।
- মাস্টার—স্লেভ কাঠামোসহ একটি প্যাকেট-ভিত্তিক প্রটোকল হচ্ছে ব্লুটুথ।
- Mobile phones, computers, laptops, printers, digital cameras এবং video games কনসোলগুলোকে পরস্পরে সাথে সংযুক্ত করতে ও তথ্য বিনিময় করতে ব্লুটুথ একটি নিরাপদ উপায় সরবরাহ করে থাকে।
- কোন দেয়াল বা অন্যকোন কিছূ ডেটা ট্রান্সমিশনে কোন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করতে পারেনা। এর ব্যান্ডউইথ 1 Mbps.
- স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্লুটুথ কনফিগার করতে পারে।
আরও পড়ুন:
জিএসএম কি বা কাকে বলে? জিএসএম এর বৈশিষ্ট, সুবিধা-অসুবিধা
সিডিএমএ কি বা কাকে বলে? সিডিএমএ এর বৈশিষ্ট, সুবিধা-অসুবিধা
জিএসএম ও সিডিএমএ এর মধ্যে পার্থক্য কী?
ব্লুটুথের অসুবিধা (Disadvantages of Bluetooth)
ব্লুটুথের যেমন সুবিধা রয়েছে তেমনি কিছু কিছু অসুবিধাও রয়েছে। নিম্নে কয়েকটি দেওয়া হলো-
- ব্লুটুথের ডাটা ট্রান্সফার রেট অনেক কম।
- ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে ১০০ মিটারের বেশি দূরত্বে সংযোগ স্থাপন সম্ভব নয়।
- ফোনে ব্লুটুথ অপশন চালু থাকলে ফোনের ব্যাটারির চার্জ বেশি খরচ হয়।
- ব্লুটুথ ইন্টারনেট গতি অনেক কম।
- ব্লুটুথ মাধ্যমে ডাটা ট্রান্সফারে সিকিউরিটি কম।
আরও পড়ুন:
মোবাইল ফোন কি? মোবাইল ফোনের জনক, বৈশিষ্ট্য, সুবিধা ও অসুবিধা
কম্পিউটার কাকে বলে? কম্পিউটারের বৈশিষ্ট্য, প্রকারভেদ ও ব্যবহার
ই মেইল কি বা কাকে বলে? ইমেইল এর সুবিধা ও অন্যান্য তথ্য