হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে পার্থক্য
হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে পার্থক্য
গান যাদের নিত্যদিনের সঙ্গী তাদের হেডফোন ও ইয়ারফোন ছাড়া কোনোভাবেই চলে না। বাড়িতে তো বটেই বের হওয়ার সময়ও তারা ব্যাগে কিংবা পকেটে করে ইয়ারফোনটি সাথে নিয়ে বের হয়। দুটো জিনিসের কাজ এক হলেও আসলেও জিনিস দুটো এক নয়, এদের মাঝে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে।
আমরা আনেকেই আছি এ পার্থক্যগুলো না করে দুটো জিনিসকে একত্রে গুলিয়ে ফেলি। চলুন জেনে নেওয়া যাক এদের মাধ্যে কিছু পার্থক্য-
ইয়ারফোন
১) ইয়ারফন হচ্ছে তুলনামূলক ছোট ডিভাইস যা কানের কোঠরে রেখে গান শুনা বা এ ধরনের কাজ করা যায়।
২) ইয়ারফোন পকেটে ব্যবহার যোগ্য। যার ফলে আপনি সহজেই এটি এক স্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যেতে পারবেন।
৩) ইয়ারফোনের দুই পাশে দুটি মিনি স্পিকার থাকে যার চারদিকে রাবারের কুশন লাগানো থাকে যা কানের জন্য আরামদায়ক হয়।
আরও পড়ুন:
কম্পিউটারের স্পিড বৃদ্ধি করার উপায়
রাউটারে সমস্যা আছে কি না বুঝবেন যেভাবে
৪) ইয়ারফোন মাঝ বরারবর একটি প্লাস্টিক ফ্রেমে ভলিউম বাটন, কল রিসিভার থাকে।
৫) ইয়ারফোনের নয়েজ ক্যান্সেলেশন একটু কম।
৬) ইয়ারফোন দীর্ঘক্ষন কানে ব্যবহারের ফলেও তেমন ব্যথা আনুভব হয় না।
৭) ইয়ারফোন ওজনে হালকা হয়ে থাকে যার ফলে এটি হেডফোনের তুলনায় সহজে ব্যবহার করা যায়।
৮) অনেকধরনের ইয়ারফোন আছে যেগুলো তারবিহীন ভাবে ব্যবহার করা যায়।
হেডফোন
১) হেডফোন কানের কোঠরে না লাগিয়ে মাথার উপর দিয়ে এনে কানে লাগানো হয়।
২) হেডফোন ইয়ারফোনের তুলনায় তুলনামুলক বড় যার ফলে এটি চাইলেই পকেটে করে বহন করা যায় না।
৩) এতে ইয়ারফোনের মতো কুশন ব্যবহার করা হয় না, এতে থাকে ফোমের গ্রিপ যার ফলে এটি সহজেই মাথার কানের সাথে আটকে যায়।
আরও পড়ুন:
হেডফোন ও ইয়ারফোনের মধ্যে পার্থক্য
৪) এর নয়েজ ক্যান্সেলেশন বেশ ভালো।
৫) এটি দীর্ঘক্ষন ব্যবহারের ফলে কানে তুলনামুলক বেশি ব্যথা আনুভব হয়।
৬) এটি তারযুক্ত হলেও বর্তমানে এর তারবিহীন অনেক মডেল পাওয়া যাচ্ছে।
৭) হেডফোন তুলনামূলক দামী।
৮) যাদের শরীর বেশি ঘামে তাদের জন্য হেডফোন ব্যবহার কষ্টসাধ্য।
সতর্কতা- হেডফোন ও ইয়ারফোন দুটোই আমাদের কানের জন্য ক্ষতিকর এসব যন্ত্র আমাদের যতসম্ভব কম ব্যবহার করা উচিৎ।